ত্রিপুরা
চোখের জলে বিদায় বাহারুল ইসলামকে

বক্সনগর: চলে গেলেন রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানী এবং বহু সম্মানে সম্মানিত ও ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম মজুমদার। তিনি সোমবার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আনুমানিক ১১টা ৪০মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী মনসুর আলী সাহেবের বড় ছেলে। তারা দুই ভাই চার বোনের পরিবার ছিলেন। সকলের মধ্যে বড় ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাহারুল ইসলাম মজুমদার।গত তিন মাস আগে তার ছোটভাই মজিবুর ইসলাম রাজনৈতিক সংঘর্ষে আক্রান্ত হয়ে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলকাতায় একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তিনি তার অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন রাজ্য কৃষি দপ্তরের ডাইরেক্টর হিসেবে।
চাকরি অবসর পাওয়ার ১ বছর পূর্বে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। ভারতের জনতা পার্টিতে যোগদান করেই ২০১৮ সালে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। পরবর্তী সময়ে তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের চেয়ারম্যান পদে আসীন হন।পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যালঘু মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন।আর এই গুণ মুগ্ধকর জীবনে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছিল।
বাহারুল ইসলাম মজুমদারের পরিবার ছিল রাজ্যের একটি খ্যাতনামা রাজনৈতিক পরিবার। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম যে একই পরিবার থেকে চারজন ভারতের রাজনৈতিক’ জাতীয় দল থেকে বিধানসভার প্রার্থী হয়েছেন।সোনামুড়া মহাকুমার মুসলিম সমাজের একটি গর্ভের বিষয় বলে আখ্যা দেন রাজনৈতিক মহল। তাঁর বাবা মনসুর আলী সত্তর থেকে আশির দশকে তৎকালীন সময়ে কংগ্রেসের হয়ে একজন দাপুটে কৃষি মন্ত্রী ছিলেন। একসময় তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী মনসুর আলী সাহেব প্রয়াত হওয়ার পর বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তার স্ত্রী তাহেরা বেগম মহোদয়া কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে লড়াই করেন।তারপর তার ছোট ভাই মজিবুর ইসলাম মজুমদার সোনামুড়া মহাকুমার ধনপুর কেন্দ্র থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস হয়ে লড়াই করেন বলে জানা যায়। গত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দুই ভাই দুই দলের পক্ষ থেকে দুই কেন্দ্র থেকে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হয়েছিলেন। সোনামুড়ায় তাদের পরিবারকে মন্ত্রিবাড়ি বলে আখ্যায়িত করা হয়।
তিন মাসে দুই ভাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান। বহু গুণে গুণান্বিত বাহারুল ইসলাম মজুমদারের মৃতদেহ নিজ মহাকুমা সোনামুড়া আসা মাত্রই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সোনামুড়ার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। প্রথমে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভেলোয়ারচড় পার্টি অফিসে শ্রদ্ধা জানান। তারপর চলে আসে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি মন্ডল অফিস কার্যালয়ে। সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি দেবব্রত ভট্টাচার্য, বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া, মন্ডল সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, যুব মোর্চার সভাপতি জিমুল হক সহ বহু নেতৃত্বরা পুষ্প মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তাছাড়া এই গুণ মুগ্ধকর ও বহু গুণে গুণান্বিত বাহারুল ইসলাম মজুমদারকে সিপিএম ও কংগ্রেস এবং বক্সনগর প্রেসক্লাবের সমস্ত সাংবাদিকরা তাকে পুষ্প মালা দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় জন্মভূমি সোনামুড়া দূর্গাপুর এলাকা এলাকায়। জন্মভূমি সোনামুড়া দূর্গাপুরে নিয়ে গেলে তার আত্মীয় স্বজনসহ গোটা এলাকার মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রয়াত বাহারুলের নিজস্ব বাসভবনে বিকাল ৫ ঘটিকায় ইসলামিক রীতিনীতি মেনে তাকে সমাধি করা হবে বলে জানান তার নিকট আত্মীয়রা। বাহারুল ইসলাম মজুমদারের প্রয়াণে সোনামুড়া বিজেপির নেতৃত্বরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানান যে এটা শুধু সোনামুড়া মহাকুমা নয় সারা রাজ্যের এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁর এই শূন্যস্থান কোনদিন পূরণ হবে বলে মনে করা যায় না। এই মৃত্যুতে সোনামুড়া মহাকুমা সহ গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
ত্রিপুরা
সংস্কৃতির শহর খোয়াইকে বিগতদিনে লাল দূর্গ আখ্যায়িত করে ভীতির পরিমন্ডল কায়েমের করা হয়েছিল : শ্রী বিপ্লব কুমার দেব

আগরতলা, ২১ মে : সংস্কৃতির শহর খোয়াইকে বিগতদিনে লাল দূর্গ আখ্যায়িত করে, ভীতির পরিমন্ডল কায়েমের দ্বারা এই অঞ্চলের সম্মানিত নাগরিকদের অপমানিত করা হয়েছিল l শনিবার খোয়াই টাউন হলে পিএম কিষান ও পিএম আবাস যোজনার সুবিধেভোগী সহ সাধরনের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব l তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি এই অঞ্চলেও মানুষের আত্মসম্মান সুনিশ্চিত হয়েছে l
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার সাথে সমস্ত সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে এখন চাকুরিতে নিয়োগের ফলে, বাগিচা শ্রমিকদের সন্তানও প্রশাসনিক উচ্চপদে নিযুক্তি পাচ্ছেন l কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর আটকে থাকা সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় এডহক ভিত্তিতে সুরাহা হয়েছে l
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশালসংখ্যক কৃষকদের উদ্দেশ্য করে শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, কৃষকদের স্থান রাস্তায় নয়, বরং কৃষি উপযোগী অনুকূল পরিমন্ডল ও গুচ্ছ সুযোগ সম্প্রসারণ দ্বারা অন্নদাতাদের জমিতে অধিক সময় অতিবাহিতকরণের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন ও রোজগার সুনিশ্চিত হয়েছে l তিনি বলেন, আগে ধান ১২ টাকা ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রী হতো আর এখন ধান ২২ টাকা ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রী হচ্ছে। ত্রিপুরাই উত্তরপূর্বাঞ্চলের একমাত্র রাজ্য যেখানে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। একই সাথে তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে বারংবার ব্যবহৃত ত্রিপুরার মানুষের আস্থা, বর্তমানে মোদীজির আন্তরিকতায় রাজ্যের সার্বিক বিকাশের পথে গতি সঞ্চারিত হয়েছে l পূর্বে আন্দোলন, মিছিল মিটিং এর নামে ব্যস্ত রেখেও দীর্ঘ উপেক্ষিত ছিল অন্নদাতাদের ভাগ্য l
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ত্রিপুরা চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বঞ্চিত চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ভূমির বন্দোবস্তু, স্বাস্থ্য বীমা, উচ্চ শিক্ষা, উন্নত সড়ক, প্রায়োরিটি হাউজ হোল্ড কার্ড, সামাজিক ভাতা সহ গুচ্ছ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে l আর এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির পথপ্রদর্শন ছাড়া সম্ভব হতো না।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এদিন খোয়াইয়ের ধলাবিল এলাকায় রাম কুমার মুন্ডা, সারতী মুন্ডা সহ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন ও এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে অবহিত হন l একই সাথে তিনি ঐ এলাকার ভারততীর্থ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এক শিশুর জন্মদিন উদযাপন ও এক মায়ের সাধ ভক্ষণ অনুষ্ঠানে অংশনেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, রাজ্য ক্রীড়া পরিষদের সচিব অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্যরা।
ত্রিপুরা
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কেন এতটা ত্রস্ত বিরোধীরা ?

আগরতলা, ২১ মে : স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে গিয়ে একটা নজির স্থাপন করেছেন শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। ভারতীয় জনতা পার্টির সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সহজ সরলভাবে গ্রহণ করে তিনি কার্যকর্তাদের কাছে এই বার্তাটা দিতে সক্ষম হয়েছেন যে, তিনি পদের জন্য নয় পার্টি ও জনতার জন্য সমর্পিত। এতে একজন সুদক্ষ নেতা হিসেবে তিনি শুধু পার্টির কার্যকর্তাদের কাছেই নয়, গোটা রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর ছবি আরো উজ্জ্বল হয়ে যায়। এতেই ত্রস্ত হয়ে পড়েন কয়েকজন বিরোধী নেতা।
শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে বিরোধীরা কতটুকু শঙ্কিত, তার আভাস পাওয়া যায় সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ কুমার সাহার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য থেকেই। পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস দল। তারাও নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে পোস্টার সেঁটে নানা কথা-বার্তা লিখতে থাকেন শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে।
যে কংগ্রেস ২০২৩ বিধানসভা দখলের স্বপ্ন মানুষকে দেখাচ্ছে, তাঁদের অবস্থা বিধানসভা তো দুর, গ্রাম পঞ্চায়েতে পর্যন্ত একজন সদস্য নেই। আর তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা রাজ্য রাজনীতিতে শুধুমাত্র অস্তিত্ব দখলের জন্য। এলাহি টাকা উড়িয়ে পুর নির্বাচনে যতটুকু লড়াই করা গেছে, তাতে আমবাসায় একজন কাউন্সিলর জয়ী হলেও তাঁকে দলে ধরে রাখতে পারেনি। টিএমসি দলের প্রতি মোহ ভঙ্গ হলে সামিল হন বিজেপি দলে।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও রয়েছে তাঁর পিতা সমীর বর্মনের ছাপ। তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, সময়ে সময়ে কলকাঠি নেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি করে সমীর বর্মন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত এক বছর ত্রিপুরা রাজ্যে কিরকম কুশাসন কায়েম ছিল তা সবার জানা। একই রকম ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সুদীপ রায় বর্মনেরমধ্যেও। তিনি ষড়যন্ত্র করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।
শ্রী বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন জনতার সমর্থনে। আবার পার্টি নির্দেশেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে চলে গেছেন একেবারে জনতার কাছে। কতটা উদার মনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে পারে নিজের কুর্সিতে হাত ধরে বসাতে পারেন নিজের উত্তরসূরিকে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাজ্যবাসী দেখেছে শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের মধ্যে। এতে তাঁর প্রতি আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে জনসমর্থন । তাতেই ভীত হয়ে পড়েছে বিরোধীরা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন সময়েও তার পেছনে ষড়যন্ত্র করে কোন কিছু হাসিল পারেনি বিরোধীরা । এখন তিনি জনতার নেতা হয়ে জনতার কাছে পৌঁছে যাবার পরেও ভালো কিছুর আশা দেখছে না বিরোধীরা । এতে আরো কয়েকগুণ বৃত্তি পেয়েছে শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রতি ভীতিভাব।
শ্রী বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন সময়ে যে সরকারী কার্যসূচি নির্ধারিত হয়েছিল, তা চালিয়ে যাবার কথা বলা হয় সরকার থেকে। এই বিষয়টাকে নিয়ে কটাক্ষ করা ও একটি ভুঁইফোড় হোয়াটস্যাপ ম্যাসেজের উদাহরণ টেনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের যে উজ্জ্বল ছবি সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে গেছে, তা নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিরোধীরা। তাতে কোন লাভের ইঙ্গিত মিলছে না বলেই শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে ভীতিতে ভুগছে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা।
ত্রিপুরা
চপার দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব।

চপার দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের আগেই দেখা দেয় যান্ত্রিক সমস্যা। হেলিকপ্টার উড়ানের জন্য ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
আসলে, শ্রী দেবের আজ হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল কৈলাশহরের চন্ডিপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তিনি যথাসময়ে বিমানবন্দরেও পৌঁছোন। যথারীতি হেলিকপ্টারে বসার পর সেটি উড়ান শুরু করে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হেলিকপ্টারটি টেক অফ করতে পারেনি। পাইলট তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে বুঝতে পারেন। পাইলট বিষয়টি শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে জানান। দেরী না করে শ্রী দেব হেলিকপ্টার থেকে নেমে বিমানবন্দরের লবিতে চলে যান। তিনি অপেক্ষা করেন হেলিকপ্টারের কারিগরি ত্রুটি ঠিক হয়ে গেলে পুনরায় যাত্রা করবেন। কিন্তু সমস্যা মেটানো যায়নি।
বিষয়টিতে মারাত্মক অবহেলা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হোক বা সাধারণ যাত্রী, ফ্লাইটের উড়ানের আগেই তাকে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে শ্রী দেব হেলিকপ্টারে বসার পর টেক অফ এর জন্য উড়ান শুরু করার পর যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে।
কিন্তু টেক অফের পর এই ত্রুটিটি লক্ষ্য করা গেলে শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতেন।
-
পশ্চিমবঙ্গ7 months ago
আব্বাসকে গ্রেফতারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাংলাপক্ষের
-
ত্রিপুরা7 months ago
স্কুলের সিলেবাসে যুক্ত হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই
-
ত্রিপুরা6 months ago
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা ত্রিপুরায়
-
জাতীয়9 months ago
নিয়োগ নীতি উপেক্ষা করে চাকুরীর নির্দেশ দেওয়া বেআইনি, চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের আবেদন খারিজ করে রাজ্য সরকারের নীতিকেই সিলমোহর উচ্চ আদালতের
-
ত্রিপুরা7 months ago
মসজিদ নিয়ে গুজবের মাঝেই ত্রিপুরায় ভাঙল মন্দির, জখম এক
-
উত্তর-পূর্ব9 months ago
দ্বাদশ শ্রেণীর উত্তীর্ণদের রেলওয়েতে গ্রুপ সি পদে চাকরির সুযোগ,বেতন মিলবে ৯২,৩০০ টাকা পর্যন্ত
-
ত্রিপুরা2 days ago
চপার দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব।
-
জাতীয়10 months ago
উন্মত্ত তিন যুবকের তান্ডব, অল্পেতে রক্ষা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী