ত্রিপুরা
হাঁস প্রতিপালনের মাধ্যমেই আত্মনির্ভরতার পথে ত্রিপুরা

বিশ্রামগঞ্জ: আত্মনির্ভরশীল মহিলারাই, সমৃদ্ধশালী রাজ্যে অন্যতম শর্ত l বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই, মহিলাদের রোজগার সৃজনে প্রধান্যের ভিত্তিতে কাজ করতে চলেছে l আজ রূদ্রসাগর হাঁস পালন প্রকল্পের অন্তর্গত তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলা সুবিধাভোগীদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব l এদিন মুখ্যমন্ত্রী সফল হাঁস পালক সুবিধাভোগীদের সাথে সাথে কথা বলেন l তারা, রাজ্য সরকার দ্বারা বন্টিত হাঁসের ছানা দ্বারা, অর্থনৈতিক নির্ভরতার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন l তারপর ১৮ জন সুবিধাভোগীদের মধ্যে হাঁসের ছানা বিতরন করেন মুখ্যমন্ত্রী l নলছড় আরডি ব্লকের অন্তর্গত চন্দনমুড়া কৃষ্ণকুমার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়l
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করার ভাবনা থেকে, রূদ্রসাগর সন্নিকটে অবস্থিত এক হাজার মহিলাদের রোজগার সৃজনের লক্ষ্যে, ৫০ হাজার হাঁসের ছানা বিতরন করা হয় l এই বিতরনকৃত হাঁস থেকে এই মহিলারা বর্তমানে অনায়াসে নিশ্চিত উপার্জনের সুনিশ্চিত পথ খুঁজে পেয়েছেন l রাজ্যে তৈরী হওয়া স্বনির্ভর মানসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্বরূপ, এই মহিলারা হাঁস পালন নির্ভর উপার্জন ভালো করছেন l আগামী দিনে নিশ্চিত উপার্জনের লক্ষ্যে হাঁস ও অন্যান্য পশু পালনে তাদের আগ্রহের কথা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেনl মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্রই প্রকল্প গ্রহণ ও সহায়তা বন্টই নয়, যথার্থ মূল্যায়নের মাধ্যমে এর সার্থকতা নিরুপন সরকারের অন্যতম গুরুত্বl তার পাশাপাশি প্রতিবন্ধকতাগুলি চিহ্নতকরণ দ্বারা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সুরাহার পথ নির্ণয় করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরl সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ দ্বারা, রূদ্রসাগর হাঁস পালন প্রকল্পের অন্তর্গত মহিলারা অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের এক অন্যতম নজিরl
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রূদ্রসাগর নির্ভর মৎস পালন ও পার্শবর্তী কৃষি ভিত্তিক উপার্জনের ভাবনার উর্দ্ধে উঠে, নীরমহলকে কেন্দ্র করে বড় মাত্রায় রোজগার তৈরী ও আর্থিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা রয়েছে সরকারেরl এর অত্যাধুনিকীকরণ ও নিত্য নতুন পরিষেবা সংযোজন সহ সম্ভাবনাময় দিকগুলির বিকশিতকরণ দ্বারা,পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও আগ্রহী করে তুলে, আর্থিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে গুচ্ছ পরিকল্পনা রয়েছেl শুধুমাত্র এই অঞ্চলের মানুষ নয়, দেশ বিদেশের পর্যটন পিপাসুদের বিনোদন ও দৃশ্য তৃপ্তি মেটাতে, আগামীর সমৃদ্ধ ত্রিপুরার অন্যতম সূচক হতে চলেছে এই অঞ্চলl মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র হাঁস বিতরণই নয়, এছাড়াও এই হাঁস প্রতিপালনের জন্য আর্থিক ও প্রশিক্ষণ মূলক সহায়তাও করা হয়েছেl মহিলাদের নিয়োগে ৩৩% সংরক্ষণ এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপl তার পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষায় অগ্রাধিকার, সরকারি মার্কেট স্টলের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, ঋণের সহজসভ্যতা, স্বল্প সুদের হার, আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার স্পেশালিটি মা ও শিশু বিভাগ স্থাপন, হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার, মানসিক রোগে বিশেষ চিকিৎসা সুযোগ, দ্রুত আইনি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে থানায় মহিলা সহায়তা কেন্দ্র এর মত পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছেl প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ জেলায় শুরু হওয়া বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও এর সুফল সারা রাজ্যে বন্টনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ফলে, পুরুষের তুলনায় মহিলার পরিসংখ্যান বেড়ে, প্রতি ১ হাজার পুরুষে ১০১১ জন মহিলাl কমেছে মা ও শিশু মৃত্যুর হারl উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে প্রাতিষ্ঠানিক জন্মl
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস বলেন, পশু পালন দ্বারা রোজগার তৈরি ও উৎপাদিত সামগ্রীর স্বয়ংভরতার লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার l এই লক্ষ্যে ১২ টি ভেটেনারি মোবাইল ভ্যান চালু করতে চলেছে দপ্তরl মহিলাদের রোজগারী করে তোলার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে, রূদ্র সাগর সন্নিহিত নির্বাচিত মহিলাদের হাঁসের ছানা বিতরণ করা হয়েছিল l বিগত দিনে অপরিকল্পির কার্যক্রমের ফলে, এসব ক্ষেত্রে বহু উদ্যোগ সত্ত্বেও সাফল্য প্রতিফলিত হয়নিl বিভিন্ন সহায়তা বন্টনের পর, তার পরবর্তি অবস্থা বা সাফল্যের মূল্যায়ন হয়নি l ফলে স্বার্থকতা ততটা আসেনিl কিন্ত এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সজাগ দৃষ্টি রাখেনl তাই বর্তমান সৎকারের সময়ের সমস্ত ক্ষেত্রে সাফল্য আসছেl এর ফলে উৎসাহিতরা বর্তমানে এগিয়ে আসছেl এর মধ্যে অন্যতম, মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্পl অধিক স্ত্রী বাছুর পাওয়ার ফলে দুগ্ধ সয়ম্ভরতার বাস্তবিক প্রতিফলন মিলছেl মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনাও একটি অন্যতম পদক্ষেপl এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, রূদ্র সাগর উদ্বাস্তু ফিসারম্যান সমবায় সমিতির সম্পাদক পরমেশ্বর দাস, সিপাহীজলা জেলা শাসক বিশ্বশ্রী বি, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব টিকে দেবনাথ প্রমুখl
ত্রিপুরা
সংস্কৃতির শহর খোয়াইকে বিগতদিনে লাল দূর্গ আখ্যায়িত করে ভীতির পরিমন্ডল কায়েমের করা হয়েছিল : শ্রী বিপ্লব কুমার দেব

আগরতলা, ২১ মে : সংস্কৃতির শহর খোয়াইকে বিগতদিনে লাল দূর্গ আখ্যায়িত করে, ভীতির পরিমন্ডল কায়েমের দ্বারা এই অঞ্চলের সম্মানিত নাগরিকদের অপমানিত করা হয়েছিল l শনিবার খোয়াই টাউন হলে পিএম কিষান ও পিএম আবাস যোজনার সুবিধেভোগী সহ সাধরনের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব l তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি এই অঞ্চলেও মানুষের আত্মসম্মান সুনিশ্চিত হয়েছে l
কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার সাথে সমস্ত সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে এখন চাকুরিতে নিয়োগের ফলে, বাগিচা শ্রমিকদের সন্তানও প্রশাসনিক উচ্চপদে নিযুক্তি পাচ্ছেন l কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর আটকে থাকা সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় এডহক ভিত্তিতে সুরাহা হয়েছে l
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশালসংখ্যক কৃষকদের উদ্দেশ্য করে শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, কৃষকদের স্থান রাস্তায় নয়, বরং কৃষি উপযোগী অনুকূল পরিমন্ডল ও গুচ্ছ সুযোগ সম্প্রসারণ দ্বারা অন্নদাতাদের জমিতে অধিক সময় অতিবাহিতকরণের মাধ্যমে অধিক উৎপাদন ও রোজগার সুনিশ্চিত হয়েছে l তিনি বলেন, আগে ধান ১২ টাকা ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রী হতো আর এখন ধান ২২ টাকা ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রী হচ্ছে। ত্রিপুরাই উত্তরপূর্বাঞ্চলের একমাত্র রাজ্য যেখানে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। একই সাথে তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে বারংবার ব্যবহৃত ত্রিপুরার মানুষের আস্থা, বর্তমানে মোদীজির আন্তরিকতায় রাজ্যের সার্বিক বিকাশের পথে গতি সঞ্চারিত হয়েছে l পূর্বে আন্দোলন, মিছিল মিটিং এর নামে ব্যস্ত রেখেও দীর্ঘ উপেক্ষিত ছিল অন্নদাতাদের ভাগ্য l
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ত্রিপুরা চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বঞ্চিত চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় ভূমির বন্দোবস্তু, স্বাস্থ্য বীমা, উচ্চ শিক্ষা, উন্নত সড়ক, প্রায়োরিটি হাউজ হোল্ড কার্ড, সামাজিক ভাতা সহ গুচ্ছ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে l আর এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির পথপ্রদর্শন ছাড়া সম্ভব হতো না।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এদিন খোয়াইয়ের ধলাবিল এলাকায় রাম কুমার মুন্ডা, সারতী মুন্ডা সহ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন ও এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে অবহিত হন l একই সাথে তিনি ঐ এলাকার ভারততীর্থ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এক শিশুর জন্মদিন উদযাপন ও এক মায়ের সাধ ভক্ষণ অনুষ্ঠানে অংশনেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, রাজ্য ক্রীড়া পরিষদের সচিব অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্যরা।
ত্রিপুরা
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কেন এতটা ত্রস্ত বিরোধীরা ?

আগরতলা, ২১ মে : স্বইচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে গিয়ে একটা নজির স্থাপন করেছেন শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। ভারতীয় জনতা পার্টির সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সহজ সরলভাবে গ্রহণ করে তিনি কার্যকর্তাদের কাছে এই বার্তাটা দিতে সক্ষম হয়েছেন যে, তিনি পদের জন্য নয় পার্টি ও জনতার জন্য সমর্পিত। এতে একজন সুদক্ষ নেতা হিসেবে তিনি শুধু পার্টির কার্যকর্তাদের কাছেই নয়, গোটা রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর ছবি আরো উজ্জ্বল হয়ে যায়। এতেই ত্রস্ত হয়ে পড়েন কয়েকজন বিরোধী নেতা।
শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে বিরোধীরা কতটুকু শঙ্কিত, তার আভাস পাওয়া যায় সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ কুমার সাহার সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য থেকেই। পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস দল। তারাও নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে পোস্টার সেঁটে নানা কথা-বার্তা লিখতে থাকেন শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে।
যে কংগ্রেস ২০২৩ বিধানসভা দখলের স্বপ্ন মানুষকে দেখাচ্ছে, তাঁদের অবস্থা বিধানসভা তো দুর, গ্রাম পঞ্চায়েতে পর্যন্ত একজন সদস্য নেই। আর তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা রাজ্য রাজনীতিতে শুধুমাত্র অস্তিত্ব দখলের জন্য। এলাহি টাকা উড়িয়ে পুর নির্বাচনে যতটুকু লড়াই করা গেছে, তাতে আমবাসায় একজন কাউন্সিলর জয়ী হলেও তাঁকে দলে ধরে রাখতে পারেনি। টিএমসি দলের প্রতি মোহ ভঙ্গ হলে সামিল হন বিজেপি দলে।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও রয়েছে তাঁর পিতা সমীর বর্মনের ছাপ। তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে, সময়ে সময়ে কলকাঠি নেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি করে সমীর বর্মন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত এক বছর ত্রিপুরা রাজ্যে কিরকম কুশাসন কায়েম ছিল তা সবার জানা। একই রকম ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সুদীপ রায় বর্মনেরমধ্যেও। তিনি ষড়যন্ত্র করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।
শ্রী বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন জনতার সমর্থনে। আবার পার্টি নির্দেশেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে চলে গেছেন একেবারে জনতার কাছে। কতটা উদার মনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলে পারে নিজের কুর্সিতে হাত ধরে বসাতে পারেন নিজের উত্তরসূরিকে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাজ্যবাসী দেখেছে শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের মধ্যে। এতে তাঁর প্রতি আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে জনসমর্থন । তাতেই ভীত হয়ে পড়েছে বিরোধীরা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন সময়েও তার পেছনে ষড়যন্ত্র করে কোন কিছু হাসিল পারেনি বিরোধীরা । এখন তিনি জনতার নেতা হয়ে জনতার কাছে পৌঁছে যাবার পরেও ভালো কিছুর আশা দেখছে না বিরোধীরা । এতে আরো কয়েকগুণ বৃত্তি পেয়েছে শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রতি ভীতিভাব।
শ্রী বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন সময়ে যে সরকারী কার্যসূচি নির্ধারিত হয়েছিল, তা চালিয়ে যাবার কথা বলা হয় সরকার থেকে। এই বিষয়টাকে নিয়ে কটাক্ষ করা ও একটি ভুঁইফোড় হোয়াটস্যাপ ম্যাসেজের উদাহরণ টেনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেবের যে উজ্জ্বল ছবি সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে গেছে, তা নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিরোধীরা। তাতে কোন লাভের ইঙ্গিত মিলছে না বলেই শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে ভীতিতে ভুগছে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা।
ত্রিপুরা
চপার দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব।

চপার দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব। হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের আগেই দেখা দেয় যান্ত্রিক সমস্যা। হেলিকপ্টার উড়ানের জন্য ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
আসলে, শ্রী দেবের আজ হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল কৈলাশহরের চন্ডিপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তিনি যথাসময়ে বিমানবন্দরেও পৌঁছোন। যথারীতি হেলিকপ্টারে বসার পর সেটি উড়ান শুরু করে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হেলিকপ্টারটি টেক অফ করতে পারেনি। পাইলট তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে বুঝতে পারেন। পাইলট বিষয়টি শ্রী বিপ্লব কুমার দেবকে জানান। দেরী না করে শ্রী দেব হেলিকপ্টার থেকে নেমে বিমানবন্দরের লবিতে চলে যান। তিনি অপেক্ষা করেন হেলিকপ্টারের কারিগরি ত্রুটি ঠিক হয়ে গেলে পুনরায় যাত্রা করবেন। কিন্তু সমস্যা মেটানো যায়নি।
বিষয়টিতে মারাত্মক অবহেলা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হোক বা সাধারণ যাত্রী, ফ্লাইটের উড়ানের আগেই তাকে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে শ্রী দেব হেলিকপ্টারে বসার পর টেক অফ এর জন্য উড়ান শুরু করার পর যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে।
কিন্তু টেক অফের পর এই ত্রুটিটি লক্ষ্য করা গেলে শ্রী বিপ্লব কুমার দেব বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতেন।
-
পশ্চিমবঙ্গ7 months ago
আব্বাসকে গ্রেফতারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাংলাপক্ষের
-
ত্রিপুরা7 months ago
স্কুলের সিলেবাসে যুক্ত হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই
-
ত্রিপুরা7 months ago
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা ত্রিপুরায়
-
জাতীয়9 months ago
নিয়োগ নীতি উপেক্ষা করে চাকুরীর নির্দেশ দেওয়া বেআইনি, চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের আবেদন খারিজ করে রাজ্য সরকারের নীতিকেই সিলমোহর উচ্চ আদালতের
-
ত্রিপুরা6 days ago
চপার দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব।
-
ত্রিপুরা7 months ago
মসজিদ নিয়ে গুজবের মাঝেই ত্রিপুরায় ভাঙল মন্দির, জখম এক
-
উত্তর-পূর্ব9 months ago
দ্বাদশ শ্রেণীর উত্তীর্ণদের রেলওয়েতে গ্রুপ সি পদে চাকরির সুযোগ,বেতন মিলবে ৯২,৩০০ টাকা পর্যন্ত
-
জাতীয়10 months ago
উন্মত্ত তিন যুবকের তান্ডব, অল্পেতে রক্ষা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী